Facebook -র লেখা

শ্যামল চক্রবর্তী
শ্রদ্ধার্ঘ্য কাজী নজরুল
প্রার্থনা কর যারা কেড়ে খায়
তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস
যেন লেখা হয আমার এ রক্ত লেখায
তাদের সর্বনাশ ,তাদের সর্বনাশ ।
সহসা চমকে উঠি হয়ে মোর শিশু
কাঁদিযা জাগিছ ঘরে , খাও নিকো কিছু
কালি হতে সারা দিন । তাপস নিষ্ঠুর
কাঁদো মোর ঘরে তুমি নিত্য ক্ষুধাতুর।
পারি নাই বাছা মোর হে প্রিয় আমার
এক বিন্দু দুগ্ধ দিতে। মোর অধিকার
আনন্দের নাহি নাহি। দারিদ্র্য অসহ
জায়া হয়ে পুত্র হয়ে কাঁদে অহরহ
আমার দুয়ার ধরি।
আমি বিদ্রোহী ভৃগু ভগবান বুকে একে দিই পদচিহ্ন
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন ।
মানুষেরে ঘৃণা করি
ও কারা কোরাণ, বেদ বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি।
ও মুখ হইতে গ্রন্থ কেতাব নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ কেতাব সেই মানুষেরে মেরে
পুজিছ গ্রন্থ ভন্ডের দল। মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ ,গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো ।
May 25, 2020

https://shorturl.at/szGT6

,,-{এই লেখাটি গতকাল গণশক্তি পত্রিকায় উত্তর সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত হযেছে। কযেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি চাইছিলেন,১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার পর সি পি আই এম নিয়ে মমতা অপপ্রচার করছেন । সি পি আ এম নেতৃত্বকে এর জবাব দেওযা দেয়া দরকার।
তাই এই প্রতিবেদন। যারা গণশক্তি পড়ার সুযোগ পাননি তাদের জন্য এখানে দেওয়া হল ,ব্যাপক প্রচারের জন্য। }
ক্ষান্ত করো মুখর ভাষণ ওগো মিথ্যাময়ী
শ্যামল চক্রবর্তী
মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বলছি।
বাধ্যবাধকতা আর সরকারি টাকায় বিজ্ঞাপনের হরির লুটের সুযোগ নিয়ে চ্যানেলগুলো এখন তো মমতাময়। সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে আপনিই সব প্রচার করছেন। কয়েক দিন আগে দৈনিক ভাষণে বললেন, ‘বাবরি মসজিদ ভাঙার পর একাই রাস্তায় ঘুরেছেন, কোনও সিপিএমকে রাস্তায় দেখেননি।’ প্রেস যথারীতি আপনার অনুপ্রেরণায় সি পি এমের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া নিলনা। আসল উদ্দেশ্য সিপিআই(এম ) যেন আপনার মিথ্যা ভাষণের কোনও জবাব দেবার সুযোগ না পায়। আপনার মিথ্যা ভাষণ যেন আপাতস্থায়ী হয়।
ঘটনাবলীতে আসি।তখন ১৯৮৬ সাল । তৃণমূল নামে কোনও পার্টি ছিলনা। আপনিসহ আজকের প্রায় অনেক তৃণমূল নেতাই তখন কংগ্রেসের নেতা। মমতা , আপনি তখন এমপি ছিলেন।
মনে পড়ে আপনার , প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী শাহ বানুর খোরপোষের মামলায় মুসলিম মৌলবাদীদের খুশী করার জন্য মুসলিম মহিলা আইন পাশ করিয়ে নিলেন। তার পরই হিন্দু মৌলবাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে অযোধ্যায় তথাকথিত রামমন্দিরের তালা খুলে দিলেন । আপনি কিন্ত তখন কোনও প্রতিবাদ করেন নি। রাজীব গান্ধীর দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছিলেন , কখন তার কৃপাদৃষ্টি মেলে, আর তাহলেই ‘আমি মন্ত্রী হব’-র ইচ্ছেটা সার্থক হয় ।
এবার আসি ১৯৯২ সালে। প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নরসিংহ রাও। আপনি আলোকিত করে আছেন কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কল্যাণ সিং । আরএসএস ও বিজেপি , বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য সারা দেশ থেকে করসেবকদের নিয়ে এল অযোধ্যায় । জ্যোতি বাবু তখন প্রধানমন্ত্রীকে বললেন আপনি করসেবকদের অযোধ্যায় ঢোকা বন্ধ করুন । তিনি নির্বিকল্প সমাধিতে রইলেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জ্যোতিবাবু প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, ‘আমরা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্য সরকার ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন কায়েম করার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই আমরাই আপনাকে বলছি আপনি এখনই ঐ রাজ্য সরকার ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করুন। বাবরি ভাঙা আটকান।’ প্রধানমন্ত্রী বললেন , ‘না না ওরা আমাকে কথা দিয়েছে , ওরা শুধু নামগান করবে তারপর ফিরে যাবে।’ মাননীয়া মমতা দেবী, কেন্দ্রের মন্ত্রী হিসাবে আপনি তো নিশ্চয়ই ঐদিন নরসিংহ বাবুদের সংগে বসে টেলিভিশনে ওদের নাম-কীর্তন এনজয় করেছিলেন।
বিজেপি ,আরএসএসের সেই নাম-কীর্তন টেলিভিশনের দৌলতে মানুষ দেখলেন । দেখলেন পাশেই মাচা বেঁধে আদবানি উমা ভারতী এবং আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি ,আর এস এসের নামকরা নেতা। ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ কয়েক ঘন্টার মধ্যে মাটির সাথে মিশে গেল।
আপনি, মমতা ব্যানার্জী তো নরসিংহ রাও-র মতই সমান অপরাধে অপরাধী। কারণ আপনি তখন কেন্দ্রের মন্ত্রী। কী করছিলেন বসে বসে ? সাম্প্রদায়িক তাসখেলা কতটা জমতে পারে তা মাপছিলেন।
আর আমরা কী করছিলাম?
বিজেপির মতলব আগাম জানা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু সারা রাজ্য ঘুরে ঘুরে এই সর্বনাশা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বড় বড় জনসভা করে মানুষকে সচেতন করেছিলেন। মন্ত্রীসভার সদস্য , রাজ্য পার্টি ও বামফ্রন্ট নেতা এবং কর্মীরাও এলাকায় মানুষকে সংগঠিত করলেন। কিছু দাঙ্গাবাজ ছাড়া সাধারণ মানুষ যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে থাকল।
অবশেষে এলো সেই ঘৃণিত কালো দিন ।
৬ই ডিসেম্বর মসজিদ ভাঙার পরপরই বহু প্রতিবাদ মিছিল বেরুলো। গোটা দুই মিছিলে কিছু সাম্প্রদায়িক উষ্কানি ছিল। কিন্ত শান্তই ছিল রাজ্য। বামফ্রন্ট পরের দিন ধর্মঘট ডাকে।রাজ্য সরকার কার্ফু জারি করে। সারাদেশ উত্তপ্ত। কোথাও কোথাও দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে । কিন্ত পূর্ব প্রস্তুতি ছিল বলে এ রাজ্য তার আঁচ পড়ে নি।
দুদিন টানা কারফিউ জারি থাকার পর বাজার হাট ইত্যাদি করার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা কার্ফু শিথিল করা হলো অথবা স্থগিত রাখা হলো। তখন মোবাইল ছিল না। কিন্ত ল্যান্ডলাইন ছিল। এর মধ্যেই দু’পক্ষের দাঙ্গাবাজরা নিজের নিজের পক্ষের লোকদের প্রস্তুত করে রাখল ।কেউ আক্রমণ করার জন্য , কেউ আত্মরক্ষার জন্য।
রাত এগারটা কি বারোটায় ঘুমোতে গেল কলকাতা । হঠাৎ পুবদিক থেকে শুরু হল বোমের আওয়াজ । প্রথমে একটা -দুটো, তারপর মুহুর্মুহু, মুড়ি মুড়কির মত। পার্ক সার্কাস, তিলজলা,৫৮. ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড, এন্টালী ।ঐ এলাকার কমরেডরা ফোন করে খবর দিচ্ছেন , এলাকাগুলোর কিছু জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দাঙ্গাবাজরা । জ্যোতিবাবুর সঙ্গে কথা বলে আমি রাইটার্স বিল্ডিংয়ে চলে এলাম। ততক্ষণে বুদ্ধদেবও চলে এসেছে, মুখ্য সচিব নারায়ন কৃষ্ণমূর্তিও চলে এসেছেন।সারা রাত প্রচুর পরিশ্রম করে পুলিশ ঘটনা আর বাড়তে দিল না।
পরদিন সকাল বেলা জ্যোতি বাবু এসে হাল ধরলেন। সারা রাজ্যে কোথায় কী ঘটেছে তার খবর নিলেন।গার্ডেনরিচের এক অংশে কিছু ঝামেলা হচ্ছিল। জ্যোতি বসুর নির্দেশ –সারা রাজ্যে কঠোর ভাবে কার্ফু চালু রাখতে হবে, দাঙ্গা দেখলেই গুলি চালাতে হবে। ফলে ঐ তিন চারটি জায়গার মধ্যে ঝামেলা সীমাবদ্ধ ছিল।দুষ্কৃতীরা রাজ্যের অন্যত্র কিছু জায়গায় উষ্কানি দিয়ে গোলমাল সৃষ্টি করতে চেয়েছিল কিন্ত পুলিশ ও বাম স্বেচ্ছাসেবকেরা এবং অনেক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ একত্রিত হয়ে তাদের রুখে দেন। আমার নিজের দেখা দুটো উদাহরণ দিতে পারি।
মানিকতলা মেইন রোডের দুপাশে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ,২৯ নম্বর ওয়ার্ড, যথাক্রমে বাগমারি ও নারকেলডাঙা ।একটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চল অপরটি সংখ্যাগুরু অধ্যুষিত অঞ্চল। উভয়দিকের কিছু ঝামেলাবাজ ঝামেলা বাধাতে চেয়েছিল কিন্ত উভয়ের মাঝখানে ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন আমাদের কমরেডরা।ওখানে কোনও গোলমালই হতে পারেনি।
আর একটি এলাকা ।বেলেঘাটার পূর্ব দিক । খালের উত্তর দিকে ৩৩ ও ৩৪ ওয়ার্ড দক্ষিণ দিকে ৫৭ ও ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড।৫৭,৫৮তে গোলমাল হচ্ছিল , গোলমালকারিরা খাল ব্রিজ পার হয়ে বার বার এদিকে আসার চেষ্টা করছিল। কিন্ত এ পারের আমাদের কমরেডরা সাধারণ মানুষের সাহায্য নিয়ে তা রুখে দেয়।
জ্যোতিবাবুও আর দেরি না করে সেনাবাহিনী নামিয়ে দেন। কয়েকদিনের মধ্যে অবশ্য সেনা তুলে নেওয়া হয় ।
সেনা টহলদারির মধ্যেই রাস্তায় নেমে দুর্গত এলাকায় যান গৌরকিশোর ঘোষ, বিমান বসু ও আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। আমি এবং প্রশান্ত শুর , দুজন মন্ত্রী , দুর্গত এলাকায় যেতে শুরু করি। মূলত দুটিএলাকা–গার্ডেনরিচ , আর মতিঝিল পিলখানা অঞ্চলে । পিলখানায় হাজার খানেক লোক ছিলেন । সেখানে আমি তাদের আশ্বাস দিই আমরা হামলাবাজদের কঠোর শাস্তি দেব।ওরা ওখানকার মানুষ এক থানা অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় ।(পরে ঐ অফিসারকে বদলী করা হয়।)
রাজাবাজারের পরিস্থিতি সামলালেন প্রয়াত সিপিআই(এম) বিধায়ক লক্ষ্মীকান্ত দে। ওখানকার মানুষদের মধ্যে লক্ষী খুবই জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য নেতা ছিলেন।বেলগাছিয়া কাশিপুর সামলালেন রাজদেও গোয়ালা ,সত্য ব্যানার্জি।
আমি পামারবাজারে মতিঝিল বস্তিতে যাই। ওখানে প্রায় সবাই মুসলিম ধর্মাবলম্বী।অধিবাসীরা আমাকে ভেতরে নিয়ে যান ।অফিসাররা নিষেধ করেন তাও আমি যাই। গলি , উপগলি, তস্য গলি , কোনোরকমে একটা মানুষ যেতে পারে এমন ফাঁক-ফোকর দিয়ে আমাকে ঠেলে নিয়ে চললেন মানুষজন । পুলিশ কোথায় তখন হারিঁয়ে গেছে ।কোন একটা গলির একবারে শেষ প্রান্তে কয়েকটি বাড়ির লোকেদের মধ্যে আমাকে দাঁড় করিয়ে দিলেন ওঁরা।
–মাসিমা, বৌদি আপনারাই বলুন।
পরিবারগুলো পরিচয় দিলেন –আমরা হিন্দু। এতদিন এরা আমাদের আগলে রেখেছে। আমাদের গায়ে কোনও আঁচড় পড়তে দেয়নি। আমাদের খাবার দাবার সবই ওরা সংগ্রহ করে দিয়েছে।
সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে ফিরেএলাম। মন ভরে গেল ।এই তো আমাদের বাংলা।
আর রাইটার্সে জ্যোতি বাবু পুলিশ, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে , পার্টির সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে শান্ত রেখেছেন বাংলাকে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে গেছেন।
তারপর জ্যোতি বসুর ডাকে মহামিছিল হলো। সংখ্যালঘু অঞ্চল দিয়েই মিছিল চলল। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।প্রায় অন্তহীন এই মিছিল । মল্লিক বাজার ,পার্ক সার্কাস দিয়ে মিছিলের পথে আমরাদেখেছিলাম অসংখ্য মানুষ , বিশেষ করে মহিলারা আকুল ভাবে মিছিল দেখছিলেন। জলভরা চোখে ,কচি ছেলেটাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে প্রাণভরে দেখছিলেন মিছিলের মানুষগুলোকে।আশার মিছিল, ভরসার মিছিল,শান্তির মিছিল, একসাথে থাকার মিছিল।
কিন্ত মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি , আপনি কোথায় তখন? আপনার হাওয়াই চটির স্পর্শ কোথাও দেখেনি কেউ।সব কাজ যখন শেষ, বাংলা যখন স্থিতিশীল তখনো অন্য অনেক রাজ্য জ্বলছে , আপনার , আপনাদের তৎকালীন কংগ্রেস পার্টি, আর বিজেপি শাসিত রাজ্যে তখন আগুনে পরিস্থিতি । অপরদিকে দাঙ্গার জন্য কুখ্যাত ছিল বিহার। সেখানে তখন লালু যাদব। সেবার বিহারে কোনও দাঙ্গা হয়নি।লালুর কথায় একটা চুহা পর্যন্ত মারা যায়নি।
কিন্ত আপনি তো মাননীয়া এলেন, সাংবাদিকসঙ্গী করে , যখন সব কিছু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।জ্যোতি বাবুরনেতৃত্বে বাংলা তখন একেবারে স্বাভাবিক। আর আপনি বলছেন সিপিএম নেতাদের দেখতে পাননি। আপনি যখন বড় রাস্তায় ফটো সেশনে সিপিআই (এম) কর্মীরা তখন পাড়ার মধ্যে , বস্তির মধ্যে , মানুষের মাঝখানে ।
আজ মূখ্যমন্ত্রী হবার সুযোগ নিয়ে আপনি ম্যারাথন ভাষণ দিচ্ছেন।বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের কবি ভারত চন্দ্র বলে গেছেন, সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর।আবার একবার শুধু মনে করিয়ে দিচ্ছি বিজেপিকে রাজ্যে হাত ধরে নিয়ে এসেছিলেন আপনি। বিজেপিরমন্ত্রী সভায় আপনি দুবার মন্ত্রী ছিলেন আরএসএসকে দেশপ্রেমিক সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন আপনি। সেটা এখন হাজার হাজার কপি হয়ে আপনার মুকুটের পালক হিসাবে বিরাজ করছে।বিনিময়ে ওরা আপনাকে মা দূর্গা উপাধি দিয়েছিলেন। জানিনা, দীপক ঘোষের বই দুটো ওদের পড়া আছে কিনা।
আমার কথার প্রমাণ ?
যে কেউ চেষ্টা করলে তৎকালীন আনন্দবাজার , আজকাল পত্রিকায় অন্তত: আমার বিবরণীর প্রমান দেখতে পাবেন। যদি আমাদের পার্টি মুখপত্রের সাহায্য নিতে চান তাহলেও পারবেন।ওখানেই দেখবেন , মমতা ব্যানার্জি র কথার প্রমান নেই , আমার লেখার আছে।
হাতে পাঁজি মঙ্গলবার।
May 23, 2020

https://acesse.one/L1Chu

গণশক্তিতে আজ আমার লেখা বেরিয়েছে ।চার এর পাতায়।
আমার লেখা ” কাশ্মীর
অতিত ভবিষ্যৎ ও বর্তমান”ষষ্ঠ সংষ্করণ নি:শেষিত। বর্তমান ঘটনাবলী ও তার ব্যখ্যা ,আমাদের কর্তব্য ইত্যাদি নিয়ে ব ইটা
কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে।
ডাকযোগে পাওয়া যাবে‌।

6th August 2019

https://acesse.one/i5hZ6

কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ
,(১)
ঘরছাডা সবে
অন্তরের কি আশ্বাস রবে
মরিতে ছুটিছে শত শত
প্রভাত আলোর পানে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রের মত।
(২)
স্ফীতকায় অপমান
অক্ষমের বক্ষ হতে রক্ত শুষি
করিতেছে পান লক্ষ মুখ দিয়া।
(৩)
পুরোণো সঞ্চয় নিয়ে ফিরে ফিরে শুধু বেচাকেনা
আর চলিবেনা।
(৪)
ঐ ক্রন্দনের কলরোল
লক্ষ বক্ষ হতে মুক্ত রক্তের হিল্লোল
বহ্নি বন্যা তরঙ্গের বেগ
বিয়শ্বাস ঝটিকার মেঘ
ভূতল গগণ
মুর্ছিত বিহ্বল করা
মরণে মরণে আলিঙ্গন
এরই মাঝে পথ চিরে নতুন সমুদ্র তীরে
দিতে হবে পাড়ি।
(৫)
রক্ত মাখা অস্ত্র হাতে যত রক্ত আঁখি
শিশু পাঠ্য কাহিনীতে
থাকে মুখ ঢাকি।
(৬)
হে কুমার , হাস্যমুখে তোমার ধনুকে দাও টান
ঝনন রনন,
বক্ষের পন্জর ভেদী অন্তরেতে হউক কম্পিত
সুতীব্র স্বনন।
হে কিশোর, তুলে লও তোমার উদার জয়ভেরী
কর হে আহ্বান ,
আমরা দাঁড়াব উঠি
আমরা ছুটিয়া বাহিরিব
অর্পিব পরান।
(৭)
বীরের এই রক্তস্রোত মাতার এই অশ্রুধারা
এর যত মূল্য সেকি
ধরার ধুলায় হবে হারা?
বিশ্বের কান্ডারী শুধিবে না এত ঋণ
রাত্রির তপস্যা কি আনিবেনা দিন?
(৮)
যেথা তুচ্ছ আচারের মরু বালি রাশি
বিচারের স্রোতপথ ফেলি নাই গ্রাসি
পৌরুষেরে করে নি শতধা।
*********************************
ভারতেরে সেই স্বর্গে কর জাগরিত।
(৯)
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি
(১০)
কত ধন যায় রাজমহিষীর এক প্রহরের প্রমোদে।
(১১)
যে অন্যায় সে ভীরু তোমা চেয়ে
যখনই দাঁড়াবে তুমি সম্মুখে তাহার
তখনই সে পথ কুক্করের মত
সংকোচে সত্রাসে যাবে মিশে।
(১২)
সবে দেখা দিল অকূল তিমির সন্তরি
দূর দিগন্তে ক্ষীণ শশাঙ্ক বাঁকা
ওরে বিহংগ ওরে বিহংগ মোর
এখনই অন্ধ বন্ধ কোরোনা পাখা।
(১৩)
ডাক দিয়ে যাই
দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে
প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে।
(১৪)
এসো শান্তি, বিধাতার কন্যা ললাটিকা ,
নিশাচর পিশাচের রক্ত দীপশিখা করিয়া লজ্জিত।
(১৫)
হেথায় আর্য, হেথা অনার্য , হেথায় দ্রাবিড্ , চীন ,
শক হূণ দল পাঠান মোগল একদেহে হল লীন।
…………………
রণধারা বাহী জয়গান গাহি উন্মাদ কলরবে
ভেদী মেরুপথ গিরি পর্বত যারা এসেছিল সবে
তারা মোর মাঝে সবাই বিরাজে কেহ নহে নহে দূর
আমার শোণিতে রয়েছে ধ্বনিতে তারই বিচিত্র সুর।
(১৬)
হিন্দুরা নাকি হিংস্র হয়না। (মোদি বলেছেন হিন্দুরা নাকি সন্ত্রাস বাদী হয় না। যদিও সুদূর অতীতের হিন্দু ধর্ম নামে কোনও ধর্ম ছিলনা । ছিল ব্রাম্মণ্য ধর্ম। একেই অনেকে হিন্দুধর্ম বলে দাবী করেন। তৎকালীন ঐ হিন্দু ধর্ম কতটা অহিংস ছিল?
রবীন্দ্রনাথের পুজারিনী কবিতাটি পডুন। মগধ রাষ্ট্রের রাজা ছিলেন বিম্বিসার । তিনি বুদ্ধভক্ত ছিলেন। তখন বুদ্ধদেব জীবিত ছিলেন। বিম্বিসারের ছেলে অজাতশত্রু ব্রাম্মণ্য ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি নিজের পিতাকে খুন করে সিংহাসনে বসেছিলেন। খুন বোধ হয় অহিংস ভাবেই হয়েছিল।
প্রথম স্তবক
নৃপতি বিম্বিসার
নামিয়া বুদ্ধে মাগিয়া লইল পাদনখকনা তার
স্থপিয়া নিভৃত প্রাসাদ কাননে
তাহার উপরে রচিলা যতনে অতি অপরূপ।
শিলাময় স্তূপ শিল্প শোভার সার ।
দ্বিতীয় স্তবক
অজাত শত্রু রাজা হল যবে
পিতার আসনে আসি
পিতার ধর্ম শোণিতের শ্রোতে
মুছিয়া ফেলিল রাজপুরী হতে
সপিল যজ্ঞ অনল আলোতে
বৌদ্ধ শাস্ত্র রাশি।

9th May 2019

https://acesse.one/XPoMb

কাশ্মীর গট আপ
গট আপ গেমের অভিযোগ অনেকেই বিশ্বাস করতেন না।
এবার দেখুন
সাংসদে চিল চীৎকার মানছি না মানব না। সারা দেশ দেখল তৃণমূল কি লড়াকু‌!
মুখোশ খুলে গেল ভোটাভুটির সময়।
ঠিক ভোটের সময় ভোট না দিয়ে বীরদর্পে শ্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট।
কেন?
এক নেতা কাম সাংসদের খুলাম খুলা জবাব#######$$
,”হারিকিরি করব নাকি ” অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব। ভোটে হেরে যাব‌।
। শূণ্য কলসি তো , বাজে বেশী। এদিকে পালাবার পথ নেই। যম আছে পিছে সারদা নারদা। স
সর্বশেষ সংবাদ মমতার পুরোপুরি আত্মসমর্পণ। তোমার সঙ্গে বেধেছি আমার প্রাণ।
####$$$#########################$#####$$
্যাসিবাদের নিয়ম হল প্রথম দিকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
যা আপাতদৃষ্টিতে জনপ্রিয়। ফলে জনগনের একটি অংশ ,সমর্থন করেন। এমনকি কিছু মানুষ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী হলেও বিভ্রান্ত হয়ে ঐ পদক্ষেপ সঠিক বলে মনে করেন। আসল এ সব পদক্ষেপ ফ্যাসিবাদ সংহত করার দিকে যাত্রা । আর ওরা প্রতিটি পদক্ষেপকে দেশের স্বার্থে, জা বা জাতির স্বার্থে , অথবা ধর্মের বলে প্রায় একচেটিয়া শক্তিশালী প্রচার যন্ত্রের সাহায্যে জনমত তৈরী করে ফেলে। পরে সাধারণ নাগরিকদের নিষ্ফল আক্ষেপ করা ছাড়া গতি থাকে না।
###$#######################”””’##########
ভুললে চলবে না বিজেপি ছোট ছোট রাজ্য গঠনের পক্ষে। কারণ ছোট ছোট রাজ্যের দরকষাকষির ক্ষমতা কম থাকে। এরা সব সময় কেন্দ্রীয় সরকারের উপর সম্পূর্ণ নিরভর শীল হয়ে থাকে। ফলে দেশের সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আবরণে ধীরে ধীরে এক কেন্দ্রীয় সরকারে র মত আচরণ শুরু করে।প্রায় অপ্রতিহত হয়ে ওঠে।
সারা ভারতে এখন ৫০টা র মত রাজ্যের দাবী আছে। এই দাবীগুলো এখন সামনে চলে আসবে। পিছনে থাকবে বিজেপির উস্কানি।
আমাদের রাজ্যে দ্বিগুণ উৎসাহে বিজেপির মদতেশুরু হবে পৃথক রাজ্যের আন্দোলন
গোর্খাল্যান্ড, গ্রেটার কুচবিহার, এমনকি উত্তর বঙ্গ।
অমিত মোদি আধাসেনা দিয়ে ঘিরে ঘিরে ফেলে দাবি মেনে কার্যকরি করবেন।
আজ যে প্রগতিশীলরা মোদিকে সমর্থন করেছেন তথন
নিস্ফল আক্রোশে কপাল চাপড়াবেন তো।
কারণ আপনিও তো মোদির হাতে মারণাস্ত্র তুলে দিয়েছেন।
সেটাই তখন বুমেরাং।।ভাঙ্গন তোএইভাবে চলতে থাকে।
‌##############$############################
তৃণমূল আত্মসমর্পন করল জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে। কিন্তু সিপিআইএম বিচ্ছিন্নতার ভয়ে তার কর্তব্যবোধ থেকে বিচ্যুত হয়নি।।১৯৬২ তে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তখন ভারত চীন সীমান্ত সংঘর্ষ।দেশপ্রেমের জোয়ারে সব ভেসে গেছে। কংগ্রেস সহ বুর্জোয়া দল গুলো এবং এমনকি ডাঙ্গেপন্থী সিপি আই, আর এস পি ,আনন্দবাজার ও অন্যান্য কাগজ আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছিল।আমার লেখা “ছাত্র আন্দোলন ৬০ -৭০ “এ প্রমান বিস্তারিত দেওয়া আছে।
অসংখ্য পার্টি অফিস, ব্যক্তিগত দৈহিক আক্রমন, দুই দফায় তিন বছরের উপর অসংখ্য নেতা ও কর্মীকে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে বিনা বিচারে আটক সত্ত্বেও বিশাল বিশাল আন্দোলন, বিশেষ করে সুদীর্ঘ ছয় মাস ব্যাপী খাদ্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের তরঙ্গশীর্ষে সিপিআইএম। আর ১৯৬৭ তে যুক্তফ্রন্টের মেরুদন্ড সিপিআই এম।
##########$####$$######$########$#$#
শুরু করছি একা বাম । চলার পথ বহতা নদীর মত। বড় থেকে ছোট নদী তার জল নিয়ে মূল স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়, তারপর বিপুল জলরাশি নিয়ে মহাসাগরের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠিক তেমনই আমাদের একা চলতে শুরু করা সংগ্রাম অসংখ্য ছোট বড় সংগ্রামকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে ভারত জোড়া সংগ্রামে পরিণত হবে‌।
এ নহে কাহিনী এ নহে স্বপন আসিবে সেদিন আসিবে।
1962

8th August 2019

https://acesse.one/5zkpo

16th October 2015

https://acesse.one/v2ZC6

চাকরি চাই ? তথ্য কথা বলে ——- সারা দেশে ও. আমাদের রাজ্যে। সুত্র :: লেবার ব্যুরো ভারত সরকার ২য় খন্ড —
তথ্য নম্বর নম্বর এক——-
সারা দেশে মাস মাইনে ভিত্তিক স্থায়ী চাকরি :::: ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত , .রাজ্য ভিত্তিতে প্রতি হাজারে পশ্চিমবঙ্গে ৫ জন।
ত্রিপুরা — ২৬৯ , জন,উত্তরাখন্ডে ২২৯ , মধ্যপ্রদেশ -৪০, মহারাষ্ট্রে ১২০, অসমে ১২৩, রাজস্থানে ১৫০, দিল্লি ২৩১, প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটে ৬৬ জন।
স্থায়ী চাকরি কম কেন? নয়া অর্থনীতির জন্য। কর্মচ্যুতির বিশ্বায়ন , স্থায়ী চাকরির বদলে চুক্তি ভিত্তিক চাকরি ,বড় কারখানার বদলে আউট সোর্সিং করে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ কাজ ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি।
পশ্চিমবঙ্গে কম কেন? বড় কারখানা তাড়িয়ে দেওয়া , নুতন কারখানা করতে ব্যর্থ হওয়া ,তোলাবাজি করে কারখানা তুলে দেওয়া ইত্যাদি।
এবার ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত তথ্য কি ? পশ্চিমবঙ্গ ১৩১ , মহারাষ্ট্রে ১৯০ ,তেলেঙ্গানা ১৬১ , অসম ২৩৯ , কেরালা ২৩৭ ,
পাঞ্জাবে পাঞ্জাবে ২০৮
ki jobsb achhe?

22th September 2015

https://l1nk.dev/WTiJe

C E S C কর্তাদের দায়িত্ব জ্ঞান হীন আচরণ এবং মমতা ব্যানার্জির আর্তনাদ
cesc র সিটুর সাধারণ সম্পাদক তরুণ ভরদ্বাজ এইমাত্র আমাকে জানালেন -‘
1)cesc কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের অর্ধেক ব্যবহার করছেনা।অথচ অতীতে এই ধরণের বিপর্যয় হলে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করা হতো ।তত্কালীন বাম সরকার ও সিটু ইউনিয়ন অগ্রিম উদ্যোগ নিত।কর্তৃপক্ষ ও বাধ্য হতো কাজ করতে ও করাতে।
2), কর্মীরা সব বাইরে চলে গিয়েছে এ কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।কযেকজন যেতে পারে ,সেটা ব্যতিক্রম।
মোটামুটি সব কর্মীরা কলকাতা বা সংলগ্ন শহরতলিতে থাকে। ফোন করে গাড়ি পাঠিযে নিযে আসা যায। অথবা তারা নিজেরাই চলে আসতে পারে ।তারা তো প্রতি দুর্যোগে কাজ করে ।
3) কর্পোরেশন বা বনদপ্তর গাছ না কাটলে বিদ্যুতের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয।বহু জায়গায় তার এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে তাতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে ।আর তৃণমূলী কাউন্সিলরদের ভূমিকা?
তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নাই।
4) বিদ্যুত কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে ,আটকে রাখা হচ্ছে ।অথচ কর্তৃপক্ষ কোনও খোঁজ নিচ্ছেনা ।পুলিশ ও তাদের উদ্ধার করছে না।এই তো গতকাল হাওড়া র একটি কালেকশন সেন্টারে কর্মীদের ছুটি র পর স্থানীয় কিছু মানুষ একজন কাউন্সিলরদের প্ররোচনায় কর্মীদের আটকে রাখশ।তাদের যুক্তি ছিল এদের আটকে রাখলেই মেইনটেনেন্সে লোক পাঠাবে ।।ম্যানেজমেন্ট ও তৃণমূলী ইউনিয়নের নেতা দের মতিগতি
বোঝা যাচ্ছে না। একটা কথা ঐ industry তে কান পাতলে শোনা যায় ,তৃণমূলের নেতাদের একটা বড় অংশ নাকি রামবাবু দের বাঁশি বাজার অপেক্ষায় আছেন। তাই গা এলিয়ে আছেন। আর মালিকরা তো শ্রেণী হিসেবে সাপ আর ব্যাঙ দুগালেই চুমু খায় । বড় গাছে নৌকো বেঁধে রাখতে চায় ।ওখানেই সব খেলা চলছে ।মমতার খেলা নাকি তার গুরু মারা শিষ্যরা খেলছে।
4) বাম সরকারের আমলে সম্ভবত স্টিফেন কোর্টে আগুন লাগার পর মমতা ব্যানার্জি প্রেসের সামনে চিত্কার করে বলেছিলেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নেই এ কেমন সরকার । এখন দশ বছর সরকার চালানর ওনার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দেখা গেল গাছের ডাল
কাটার মত করাত ই নেই।
5) বিজয়ন কে দেখে শিখুন কি ভাবে মানুষকে জমায়েত করে অসাধ্য সাধন করা যায় ।একা কুম্ভ হলে কি হতে পারে?
6) কেউ কেউ প্রচার করছেন মমতা সামনে ,থেকে
নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
হ্যাঁ আপনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিক ই
সামনেই আছেন ঠিক ই
তবে পিছনে আপনার লোক ক্রমশ কমছে।
এক সময দেখবেন পিছনে আপনার কেউ নেই কিছু নেই।
সেদিন দেখবেন শূণ্যতাই আপনার শোভা

24th May 2020

https://shorturl.at/dLNX2

বিদ্যুত বন্ধে বেশ বেশির ভাগ লোক সাডা দিয়েছে দেখে আমাদের কয়েকজন বন্ধুর মন খারাপ হয়ে গেছে।তারা কিছুটা হতাশ হয়ে গেছেন।
আচ্ছা, আপনারা কি মনে করেছিলেন আমাদের শক্তি আর প্রভাব এত বেশি যে আমাদের আহ্বানে বেশির ভাগ মানুষ সাড়া দেবেন? রাজ্যে আমরা ভোট পেয়েছি মাত্র ৭%। কি করে আশা করেন?
তা হলে একটা সঙ্গত প্রশ্ন তো করতেই পারেন আপনারা আলো না নেভানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
লক্ষ্য করে দেখবেন আমাদের পার্টি জনগণকে কিন্ত আলো নেভানোর বা জ্বালিয়ে রাখার কোনও আবেদনই জানায নি। অর্থাত সিদ্ধান্ত নেবার ভার জনগণের উপরেই ছেড়ে দিযেছিল।
আমরা যা বলেছি তা নিজেদের কথা বলেছি। আমি বা আমরা কথাটা ব(অন্তঃস্থ য যোগ করুণ )বহার করেছি।
আসল কথাটা হল এই যে ফ্যাসিবাদের পদ্ধতিই হল যে তোমার কাজের পিছনে জনগণের সম্মতি তৈরী করতে করতে চলো।। মাস হিস্টিরিয়া নির্মাণের প্রক্রিয়া চালু রাখ। অসুবিধা গুলোকে সুযোগে পরিণত কর।যেমন বেকার আছে তাই দশ কোটি বেকারের চাকরি দেব। সব পরিবারকে 15লক্ষ করে টাকা দেব। নতুন নতুন চমক দিয়ে মানুষকে খুড়োর কলের পিছনে ছোটাতে থাকে ।
প্রকৃতপক্ষে কমিউনিস্টরা এবং কিছু সমাজসচেতন ছোট ছোট পার্টি ও ব্যক্তি প্রথম বিরোধীতা শুরু করে কারণ তারা জানে ফ্যাসিবাদের প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধীতা করা দরকার । unchallenged ছেড়ে দিতে নেই। প্রতিবাদ প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয। উত্তাপ কম হলেও করতে হয।
ধীরে ধীরে অনেকেই ভুল সংশোধন করতে থাকেন। মোহমুক্ত হতে থাকেন। ইতিহাসের এটাই অভিজ্ঞতা।
মনে পড়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ।ইন্দিরা গান্ধীকে বলা হতো ভারতমাতা, India is Indira ,Indira is India,এশিয়ার মুক্তিসূর্য ১৯৭৭ এর নির্বাচনে, লোকসভা ও বিধানসভায কি হযেছিল?কংগ্রেসকে এখনও তার মূল্য চুকিয়ে যেতে হচ্ছে ।

6th April 2020

https://acesse.one/dMFtn

সিইএসসির কর্মীরা সরকার ও গোয়েঙ্কা ম্যানেজমেন্ট ও পুরসভার অপরিনাম দর্শিতা ও অযোগ্যতার কারণে সাধারণ মানুষদের কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। অথচ গত ষাট ঘণ্টা ঘুম তো দূরের কথা ওরা এক মূহুর্ত বিশ্রাম করার সুযোগ পাননি। এমনিতেই তো গত কয়েক বছরে কর্মী সংখ্যা অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। মেইনটেনেন্স বেশিটাই আউটসোর্সিং। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা স্থায়ী কর্মী দের হাতে নেই। সেটা পারে ম্যানেজমেন্ট।
উম্ফুনের পূর্বাভাস ঘোষিত হবার পর সিটু ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তরুণ ভরদ্বাজ ম্যানেজমেন্ট কে চিঠি দিয়ে কি কি ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখা উচিত সে বিষয়ে ম্যানেজমেন্টের কাছে পুরণো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু অগ্রিম পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সিটু ওখানে স্বীকৃত ইউনিয়ন না। ইউনিয়ন নির্বাচনের দিন তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ,ম্যানেজমেন্ট এবং পুলিশ একযোগে সিটু কর্মী দের মারধর করে, বুথ দখল করে ,ভোটে
হারিয়ে দিয়ে পরপর দুবার গাযের জোরে ইউনিয়ন দখল করে আছে।তাই যথারীতি সিটু ইউনিয়নের চিঠি ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে ফেলে দেওয়া হল। আর কর্মীরা এখন মানুষের রোষের শিকার।
কর্পোরেশনের সহযোগিতা নেই।হঠাত্ করে বিদ্যুত্ সংযোগ দিয়ে দিলে মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এক ই অবস্থা বিদ্যুত পর্ষদের কর্মীদের। তবে এখানে আমাদের ইউনিয়নের কর্মীদের ম্যানেজমেন্ট দূরে দূরে বদলি করে দেওয়া ছাড়া বিশেষ কোনও অত্যাচার করেনি। কারণ দক্ষ কর্মীরা বেশির ভাগই
আমাদের। ওদের উপর নির্ভর করতেই হবে।
তবে এখানে কর্মী অনেক কমিয়ে দিয়ে ঠিকাদার নির্ভর হয়েছে। ঠিকাদার রা অনেকেই ঠিকা কর্মী নিয়োগের নিয়ম কানুন মানে না। দক্ষ কাজের জন্য অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে। অনেক সময় দেখবেন রিপাযার করতে গিয়ে তারে শরীর ঝুলছে। যে হেতু ঠিকাদার সরকারের খাতায তার নাম দেখায়নি তাই আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ তার পরিবার তো পেলোই না উপরন্তু বলা হল চুরি করতে গিয়েছিল । ও চোর।
ম্যানেজমেন্ট আর ঠিকাদারের অশুভ আঁতাত। পর্ষদ এখন ঠিকাদার নির্ভর।
তাই বন্ধু দের কাছে আবেদন আপনারা please
বিদ্যুত কর্মী দের পাশে দাঁড়ান। ওদের নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারছেনা।
গ্রামে শহরে বার্তাটি ছডিযে দিতে পারলে ভালো হবে।
May 23, 2020

https://acesse.one/n0sSE

বিদ্যুত বন্ধে বেশ বেশির ভাগ লোক সাডা দিয়েছে দেখে আমাদের কয়েকজন বন্ধুর মন খারাপ হয়ে গেছে।তারা কিছুটা হতাশ হয়ে গেছেন।
আচ্ছা, আপনারা কি মনে করেছিলেন আমাদের শক্তি আর প্রভাব এত বেশি যে আমাদের আহ্বানে বেশির ভাগ মানুষ সাড়া দেবেন? রাজ্যে আমরা ভোট পেয়েছি মাত্র ৭%। কি করে আশা করেন?
তা হলে একটা সঙ্গত প্রশ্ন তো করতেই পারেন আপনারা আলো না নেভানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
লক্ষ্য করে দেখবেন আমাদের পার্টি জনগণকে কিন্ত আলো নেভানোর বা জ্বালিয়ে রাখার কোনও আবেদনই জানায নি। অর্থাত সিদ্ধান্ত নেবার ভার জনগণের উপরেই ছেড়ে দিযেছিল।
আমরা যা বলেছি তা নিজেদের কথা বলেছি। আমি বা আমরা কথাটা ব(অন্তঃস্থ য যোগ করুণ )বহার করেছি।
আসল কথাটা হল এই যে ফ্যাসিবাদের পদ্ধতিই হল যে তোমার কাজের পিছনে জনগণের সম্মতি তৈরী করতে করতে চলো।। মাস হিস্টিরিয়া নির্মাণের প্রক্রিয়া চালু রাখ। অসুবিধা গুলোকে সুযোগে পরিণত কর।যেমন বেকার আছে তাই দশ কোটি বেকারের চাকরি দেব। সব পরিবারকে 15লক্ষ করে টাকা দেব। নতুন নতুন চমক দিয়ে মানুষকে খুড়োর কলের পিছনে ছোটাতে থাকে ।
প্রকৃতপক্ষে কমিউনিস্টরা এবং কিছু সমাজসচেতন ছোট ছোট পার্টি ও ব্যক্তি প্রথম বিরোধীতা শুরু করে কারণ তারা জানে ফ্যাসিবাদের প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধীতা করা দরকার । unchallenged ছেড়ে দিতে নেই। প্রতিবাদ প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয। উত্তাপ কম হলেও করতে হয।
ধীরে ধীরে অনেকেই ভুল সংশোধন করতে থাকেন। মোহমুক্ত হতে থাকেন। ইতিহাসের এটাই অভিজ্ঞতা।
মনে পড়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ।ইন্দিরা গান্ধীকে বলা হতো ভারতমাতা, India is Indira ,Indira is India,এশিয়ার মুক্তিসূর্য ১৯৭৭ এর নির্বাচনে, লোকসভা ও বিধানসভায কি হযেছিল?কংগ্রেসকে এখনও তার মূল্য চুকিয়ে যেতে হচ্ছে ।

6th April 2020

https://acesse.one/dMFtn

C E S C কর্তাদের দায়িত্ব জ্ঞান হীন আচরণ এবং মমতা ব্যানার্জির আর্তনাদ
cesc র সিটুর সাধারণ সম্পাদক তরুণ ভরদ্বাজ এইমাত্র আমাকে জানালেন -‘
1)cesc কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের অর্ধেক ব্যবহার করছেনা।অথচ অতীতে এই ধরণের বিপর্যয় হলে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করা হতো ।তত্কালীন বাম সরকার ও সিটু ইউনিয়ন অগ্রিম উদ্যোগ নিত।কর্তৃপক্ষ ও বাধ্য হতো কাজ করতে ও করাতে।
2), কর্মীরা সব বাইরে চলে গিয়েছে এ কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।কযেকজন যেতে পারে ,সেটা ব্যতিক্রম।
মোটামুটি সব কর্মীরা কলকাতা বা সংলগ্ন শহরতলিতে থাকে। ফোন করে গাড়ি পাঠিযে নিযে আসা যায। অথবা তারা নিজেরাই চলে আসতে পারে ।তারা তো প্রতি দুর্যোগে কাজ করে ।
3) কর্পোরেশন বা বনদপ্তর গাছ না কাটলে বিদ্যুতের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয।বহু জায়গায় তার এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে তাতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে ।আর তৃণমূলী কাউন্সিলরদের ভূমিকা?
তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নাই।
4) বিদ্যুত কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে ,আটকে রাখা হচ্ছে ।অথচ কর্তৃপক্ষ কোনও খোঁজ নিচ্ছেনা ।পুলিশ ও তাদের উদ্ধার করছে না।এই তো গতকাল হাওড়া র একটি কালেকশন সেন্টারে কর্মীদের ছুটি র পর স্থানীয় কিছু মানুষ একজন কাউন্সিলরদের প্ররোচনায় কর্মীদের আটকে রাখশ।তাদের যুক্তি ছিল এদের আটকে রাখলেই মেইনটেনেন্সে লোক পাঠাবে ।।ম্যানেজমেন্ট ও তৃণমূলী ইউনিয়নের নেতা দের মতিগতি
বোঝা যাচ্ছে না। একটা কথা ঐ industry তে কান পাতলে শোনা যায় ,তৃণমূলের নেতাদের একটা বড় অংশ নাকি রামবাবু দের বাঁশি বাজার অপেক্ষায় আছেন। তাই গা এলিয়ে আছেন। আর মালিকরা তো শ্রেণী হিসেবে সাপ আর ব্যাঙ দুগালেই চুমু খায় । বড় গাছে নৌকো বেঁধে রাখতে চায় ।ওখানেই সব খেলা চলছে ।মমতার খেলা নাকি তার গুরু মারা শিষ্যরা খেলছে।
4) বাম সরকারের আমলে সম্ভবত স্টিফেন কোর্টে আগুন লাগার পর মমতা ব্যানার্জি প্রেসের সামনে চিত্কার করে বলেছিলেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নেই এ কেমন সরকার । এখন দশ বছর সরকার চালানর ওনার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দেখা গেল গাছের ডাল
কাটার মত করাত ই নেই।
5) বিজয়ন কে দেখে শিখুন কি ভাবে মানুষকে জমায়েত করে অসাধ্য সাধন করা যায় ।একা কুম্ভ হলে কি হতে পারে?
6) কেউ কেউ প্রচার করছেন মমতা সামনে ,থেকে
নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
হ্যাঁ আপনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিক ই
সামনেই আছেন ঠিক ই
তবে পিছনে আপনার লোক ক্রমশ কমছে।
এক সময দেখবেন পিছনে আপনার কেউ নেই কিছু নেই।
সেদিন দেখবেন শূণ্যতাই আপনার শোভা

17th August 2019

https://acesse.one/i5hZ6

ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরকে জন্য 35 A ধারা প্রবর্তন করা হয়েছিল। আজ সেটাই কেড়ে নেওয়া হল।
কি ছিল 35A ধারাতে? কাশ্মীরের স্থায়ী অধিবাসী কে বা কারা তা কাশ্মীরের বিধান সভা তার সংজ্ঞা নিরুপন করবে । স্থায়ী অধিবাসীদের কিছু অধিকার থাকবে।যেমন‌ সম্পত্তি কেনা র অধিকার।কিন্ত্ত বাইরের লোকরা তাকিন্তু পারবেনা।
কাশ্মীরে ঐ অধিকার আছে বলে অনেকে চিল চীৎকার জুড়েছেন। কিন্তু পাশের হিমাচল রাজ্যেও এক ই সুবিধা চালু আছে। হিমাচলে বাইরের লোক জমি বা সম্পত্তি কিনতে পারবেনা। কিন্ত।তা নিয়ে
কোনও উচ্চবাচ্য নেই!
কারণ কাশ্মীরে সংখ্যাধিক্য মুসলামান আর হিমাচলে ৯০% হিন্দু।।
এক ই ভাবে কাশ্মীরের 53A ধারায় কাশ্মীরে যে কথা আছে অর্থাৎ কাশ্মীরের বাইরের রাজ্যের
কেউ জমি কিনতে পারবেনা।এক ই আইন চালু আছে হিমাচল প্রদেশ ও অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে।
৩৭১ ধারা চালু আছে মহারাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে,গুজরাটের বিদর্ভ ও কচ্ছে,
৩৭১(খ)—আসামের উপদ্রুত এলাকা
৩৭১(গ)–মনিপুর
৩৭১(ঘ)অন্ধ্রের কিছু অঞ্চল
৩৭১(চ)–সিকিম
৩৭১(ছ)–“অরুণাচল
৩৭১(“জ)–মিজোরাম

5th August 2019

https://acesse.one/XPoMb

কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্ত স্মরণে
(১)
চীনে চিকিৎসারত অবস্থায় প্রমোদ দা চলে যান। ওর সঙ্গী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সাতদিন পর সকালে তার মরদেহ চীনের বিশেষ বিমানে দমদমে আসে। দমদম থেকে রাজ্যদপ্তর একটি খোলা ট্রাকে (তখন শব বাহী গাড়ি ব্যবহারের চল ছিল না।) রাজ্য দপ্তরে নিয়ে আসা হ য়। পথের দুপাশে দলনির্বিশেষে অগনিত মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানানর জন্য দাড়িয়ে ছিলেন।
রাজ্যদপ্তরে মরদেহ কয়েক ঘন্টা পার্টির সভ্য সমর্থক,দরদী ও সাধারণ মানুষকে শেষ শ্রদ্ধা জানানর সুযোগ দেওয়ার জন্য শায়িত ছিল। লাইন চলে গিয়েছিল মৌলালী পর্যন্ত‌। বিকেলে কেওড়াতলা শ্মশানের দিকে শোভাযাত্রায় অগনিত মানুষ অংশগ্রহণ তো করেছিলেন তো বটেই রাস্তাতে ও
অসংখ্য মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। তারাও শোভাযাত্রায় অংশ নেন। কেওড়াতলা তো লোকে লোকারণ্য।
তখন ১৯৮২ সাল। কমরেড হরকিষান সিং সুরজিত সকাল থেকেই ছিলেন। তিনি বললেন পি ডি জি এম এল এ ,এম পি, মন্ত্রী কিছুই ছিলেন না। তার শেষ যাত্রায় এত মানুষ! সত্যিই তোমরা মাস পার্টি গড়ে তুলেছ‌।
সরোজ দা ঠিক করে দিয়েছিলেন পি ডি জির ট্রাকে থাকবে বিমান,বুদ্ধ, শ্যামল,সুভাষ,অনিল এই পাচজন। আর থাকবেন প্রবীণ কমরেড শান্তিময় ঘোষ।
…. (২)
শেষ জীবনটা প্রমোদ দা প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন। একা থাকতেন।তাই অসুখের সময় আমরা পালা করে থাকতাম।দিনে রাতে। মাঝে মাঝেই দীঘা যেতেন কমরেড অনুরূপ পান্ডার তত্বাবধানে। একবার ঝাড়গ্রামেও গিয়েছিলেন জঙ্গলের মধ্যে কমরেড সাধন গুপ্তের বাড়িতে ছিলেন। ঐ সময় আমিও টি বি আক্রান্ত হ ওয়ায় স্ত্রী ও শিশু কন্যা ঊষসীকে নিয়ে ঝাড়গ্রামে একজন অধ্যাপকের বাড়িতে ছিলাম। মাঝে মাঝে দেখাও হত। প্রায়ই ঊসষীর জন্য শুকনো খাবার পাঠাতেন।।
দুপুর বেলা খেতেন এখন কার ছাত্র যুব অফিসের নীচে যেখা
নে লাইব্রেরী আছে ওখানে বসন্ত কেবিন নামে একটা রেষ্টুরেন্ট ছিল ওখানে দুপুরে খেতে আসতেন।পরে নকসাল উপদ্রব বাড়লে উনি গণশক্তি প্রিন্টার্সে খেতেন। বসন্ত কেবিনের মালিক ,তার নাম ছিল বসন্ত‌। দোকান প্রায় লাটে তুলে দিয়ে সব সময় প্রমোদার সঙ্গে থাকতেন। আমরা ঠাট্টা করে বলতাম বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। অকৃতদার ব্যক্তি। নিজের কোনও স্বার্থ ছিল না।
আমার স্ত্রীর যখন অকস্মাৎ অপারেশন টেবিলে মৃত্য হয় তখন উনি কিম্বার নার্সিং হোমে ।চোখের অপারেশনের পর অপারেশনোত্তর পরিচর্যা চলছিল। তখন পুরণো পদ্ধতিতে অপারেশন হত। উনি আমাকে দেখা করতে বললেন‌। আমি যাওয়ার পর আমার হাত ধরে কে৺দে ফেললেন। চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়ছিল। সঙ্গে সঙ্গে বসন্তদা আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে এলেন। নার্সিং হোমের মালিক ছিলেন ডাক্তার নারায়ন বসু।তিনি কোনও টাকা আমাদের কাছ থেকে নিতেন না।
তিনি ঐ নার্সিং হোম পি আর সিকে দান করে গেছেন। ডা বসু আমাকে বললেন ওনার চোখ দিয়ে জল পড়া খুব খারাপ হবে। খুব ইমোসানাল হয়ে পড়েছেন। পাষাণ ও যে গলে জল হতে পারে সেই প্রথম দেখলাম। পরে সুস্থ হবার পর আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন অনেক কথা।কি করে চলবে। কোথায় থাকব। কি ভাবে চলবে, ।সব কিছু। পরে আস্বস্ত করলেন তোমার মেয়ের দায়িত্ব আমাদের। তুমি কোনও চিন্তা কোরোনা। আমি থাকতাম আমার ভা ই এর পরিবারের সঙ্গে।
,(৩)
্রমোদদা পার্টির সম্পাদক ছিলেন ১৯৬১ থেকে আমৃত্যু ১৯৮২ সাল পর্যন্ত। একদিকে পুরোণো পার্টিকে ভেঙেছেন অপর দিকে নতুন পার্টি গড়ে তুলেছেন। কমরেড হরেকৃষ্ণ কোনারের ভাষায় একটা ফর্ম ভাঙ্গছি আর একটা ফর্ম গড়ে তোলার জন্য। অনেক বাক ও মোড় পেরিয়ে, অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে গড়ে তুলেছেন বিশাল পার্টি। পি ডি জি, হরেকৃষ্ণ কোনার, জ্যোতি বসু এ তিনের কম্বিনেশন বিশাল জনসমর্থন নিয়ে কমিউনিষ্ট পার্টি তৈরী হলো। প্রতিটি জেলার প্রতিটি এল সি এমকে তিনি নামে ও মুখে চিনতেন। ।
পলিট ব্যুরোর সদস্য হিসাবে একসময় ত্রিপুরা, আসাম, বিহার, উড়িষ্যার দায়িত্বে ছিলেন । ঐ রাজ্যগুলিতে তরুণ নেতাদে সামনে নিয়ে এসেছিলেন।।ত্রিপুরায় মানিক।সরকার, আসামে উদ্ধব বর্মন, হেমেন দাস, উড়িষ্যায় জনার্দন পতি। পশ্চিম বঙ্গেও বিভিন্ন জেলায় নতুন নেতৃত্ব তৈরী করায় তার অবদান অপরিসীম।
একটা ছোট পার্টিকে হাতে কলমে বিশাল পার্টিতে পরিণত করেছিলেন। তিন ধরণের লড়াই তাকেলড়তে হয়েছিল। জ্যোতি বাবু ও হরেকৃষ্ণ কোনার কে নিয়ে সোভিয়েত পুষ্ট সংশোধনবাদ আর চীনের পার্টির মদতে নকসাল পন্থী দের বিরুদ্ধে আবার কংগ্রেস সরকারের আধা ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে। অবশ্য ১৯৭৩ এ হরেকৃষ্ণদা মাত্র ৫৯ বছর বয়সে ক্যান্সারে মারা যান। ৭০ দশকের আধা ফ্যসিবাদী আক্রমণ পি ডি জি ও জে বি এই মূলত এই দুজনের নেতৃত্বে মোকাবেলা করা হয়। জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত আন্দোলন ও পরিশেষে আসন সমঝোতার মধ্য দিয়ে দেশে একটি নতুন সরকার এবং রাজ্যে বাম ফ্রন্ট সরকার গঠিত হয়।
শুধু আমাদের রাজ্যে নয় ত্রিপুরা, কেরালাতেও বাম সরকার গঠিত হয়।
(৫)
এহেন প্রমোদ দাশগুপ্তেকে সেই সত্তর দশকে অনেক অবাঞ্ছিত সমালোচনা, ও আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়। অপদার্থ,পার্টির সর্বনাশ করেছে। গ্রুপবাজ, স্তাবক প্রিয়, মার্কসবাদের অ আ ক খ বোঝেন না। ভীরু– এলাকা ছেড়ে চলে আসতে বলেছেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রমোদ বলেছিলেন কয়েকটি এলাকা ছেড়ে আসতে বলেছি এই কারণে যে তা না হলে সশস্ত্র রাষ্ট্র শক্তির বিরুদ্ধে অনেক কমরেডকে আমারা হারাতাম। এজন্য বোঝা দরকার কখন এগোতে হয় কখন organised retreat করতে হয়। পুরণো দিনের রাজপুতদের মত করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে কমিউনিষ্ট দের নীতি নয়।
এই সমালোচকরা বলতেন পার্টি নির্বাচন সর্বস্ব হয়ে গেছে। বিপ্লবী পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এদের পালের গোদা‌ প্রমোদ দাশগুপ্ত।
এই বিপ্লবীদের মধ্যে একজন হলেন শ্রীযুক্ত পাচু রায়। আজকালের চিঠিপত্র কলমে বিপ্লবের ফুলকি ছোটাতেন। এখন তিনি মাথার পিছনে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিপ্লবী মমতা ব্যানার্জীর ছবি রেখে বসেন দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারম্যান।
———-আর সময় নেই জরুরি সভায় বসতে হবে।
কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্ত স্মরণে
লাল সেলাম।

13th July 2019

https://l1nk.dev/plVHq

আমি একটা নিরিহ প্রশ্ন করেছিলাম । শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি কি বিষয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট পেয়েছিলেন।কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পি এইচ ডি করেছিলেন।কিন্ত দেখা গেল আমি বোধ হয় ভীমরুলের চাকে ঢিল মেরেছি।বিজেপির ভক্ত দের মধ্যে যারা শিক্ষিত ও ভদ্র তারা নম্রভাবে জানালেন , না, শ্যামাপ্রসাদ গবেষণা করেন নি। পি এইচ ডি করেন নি। উনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট পেয়েছিলেন।
এই পর্যন্ত বলে তারা বলবার চেষ্টা করলেন এতে সমালোচনার কি আছে। জ্যোতি বসু, সফদার হাসমি কমিউনিষ্ট নেতারাও ডি ফিল পেয়েছিলেন।
আর যারা যুক্তিহীন গো৺য়ার সমর্থক তারা যেমন পেরেছেন অশোভন ভাষা ব্যবহার করেছেন। যুক্তি না থাকলে যা হয়।
সুতরাং গালাগালিটা গায়ে মাখছিনা। আসল প্রশ্নে আসছি।
ডি ফিল দেওয়া হয় যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন । খেলোয়াড়রাও পেতে পারেন। যাকে দেওয়া হল তার যোগ্যতা নিয়ে মতবিরোধ থাকতেই পারে। সেটা স্বাভাবিক। প্রশ্ন সেটা নিয়ে নয়। কিন্ত তারা কেউ নির্লজ্জ্বের মত নামের আগে ড: ব্যবহার করেন নি। আমাদের রাজ্যে তো নয় ই। না জ্যোতি বসু না হীরেণ মুখার্জী‌।
। মমতা ব্যানার্জী নামের আগে ডক্টর ব্যবহার করতেন। জালিয়াতি ধরা পড়বার পর তিনি সেটা আর করতে পারেন না।
কিন্ত বিজেপির ভক্তগুলো আর ও বেশী নির্লজ্জ। জেনে শুনে ড: শব্দটি ব্যবহার করে। কি গবেষণা করেছেন জিজ্ঞাসা করলেই গাল দেয়। বোঝেনা যে ইতিহাসের অভিজ্ঞতা কত নির্মম। রক্তমাখা অস্ত্র হাতে যত রক্ত আ৺খি ,শিশুপাঠ্য কাহিনীতে থাকে মুখ ঢাকি।
উদাহরণ? ,হিটলার, “,মুসোলিনি ।
বিজেপির কাজ হলো নেতাদের ঢপের ইমেজের বেলুন তৈরি কর‌
। তৈরি কর শুধু ফেসে যাবার জন্য

27th August 2019

https://l1nk.dev/FUFnM

আহা!
মা মাটি মানুষ সরকারের কি মানবিক মুখ!
মাষ্টার মশাইদের গরম লাগে
সরকারি কর্মচারীদের লাগে না?
ক্ষমতার দম্ভে মানুষকে অপমান করতে দুবার ভাবেন না।
এর আগে একদিন শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডি এর দাবী নিয়েবলেছিলেন “ঘেউ ঘেউ করবেন না।”
সেদিন এক জনসভায় বললেন “ছেলে হারিয়েছে তো কি হয়েছে?”
অহংকার , ঔদ্ধত্য সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

্য

2nd May 2019

https://l1nk.dev/UXJRF

কাশ্মীরে ৩৫ক ধারার জন্য নাকি শিল্প হচ্ছে না।কারণ অকাশ্মীরিরা জমি কিনতে পারেন নি তাই সারা ভারতের অন্যত্র বিনিয়োগ করেছেন‌।
বেশ কথা‌। বাধিয়ে রাখার মত।
শুধু বুঝলাম না গত ৭০ বছরের মধ্যে ভারত সরকারে কংগ্রেস ৪০—৫0 বৎসর ,আর বিজেপি বছর ১১ এর মত রাজত্ব করেছেন।
এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে ২৩ লক্ষ কোটির মধ্যে কাশ্মীরে বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র
১৬৫ কোটি টাকা। তাতে মোট কর্মসংস্থান হয়েছে মাত্র ১৯জন।
এর জন্যে কি ৩৫ এ দায়ী?
আবার দেখুন ৩৫ ক অনুযায়ী বাইরের লোক জমি কিনতে পারেনা। তাই বেসরকারি বিনিয়োগ ও আসছে না।
আচ্ছা! অমিত মোদি কি জানতেন না যে কাশ্মীরে বাইরের লোক জমি কিনতে পারে না কিন্ত তারা তো লিজে জমি নিতে পারে। ৯০বছরের লিজ ।পুনর্নবীকরণ করা যায়।
তাহলে ঐ মিথ্যা প্রচার কেন? যে ৩৫ক ধারার জন্য শিল্প হচ্ছেনা।
মোদি সাহেব ! এবার বলুন তো !শিল্প না হ ওয়ার আসল কারণ কি?
আসল কারণ রাষ্ট্র কাশ্মীর কে বিতর্কিত অঞ্চল বলে চিহ্নিত করার কারণে কর্পোরেট
আগ্রহ দেখান নি।
এখন সব ৩৭০ আর ৩৫এর। যে কথাটা অস্বীকার করা হচ্ছে তা হল ৩৭০না থাকলে কাশ্মীরে ভূমি সংস্কার হত না। কাশ্মীরের মানুষ আরও গরীব হয়ে যেত।।

17th August 2019

https://l1nk.dev/iVKX6

আমার ওয়াল—আমার সওয়াল (৩)
(ক)
কমরেড সীতারাম দ্যর্থহীন ভাবে বলে দিয়েছেন যে নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্ন ই আসে না। আর ওটা হলে বিজেপির শক্তি বাড়বে।তন্ময় নিজে ভি ডি ও ও বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে তার কথা জানিয়ে দিয়েছে। ও যা বলেছে ও লিখেছে ,আমি যা বুঝলাম তার সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।
কয়েকটি কারখানায় আমাদের ইউনিয়ন আছে তৃণমূলের ও ইউনিয়ন আছে। আগে কারখানায় আন্দোলন হলে ত্ণমূলের একটা অংশ বিরোধীতা করত আর কোথাও কোথাও
একটা অংশ চুপি চুপি আমাদের বলত আপনারা করুন ,আমরা চুপচাপ থাকব কিন্তু কিছু করতে পারব না।। এখন রাষ্টায়াত্ত শিল্পের ক্ষেত্রে কয়েকটা শিল্পে একসাথে লড়াই এর সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে। রাণাঘাট ষ্টেশনে সি আই টি ইউ হকার ইউনিয়ন, তৃণমূলের ইউনিয়ন একসাথে মিছিল করেছে, ঠিক করেছে। তাদের রূটি রুজির লড়াই ।কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শ্রেণী ঐক্য।। তার অর্থ কি এই যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও মানে নির্বাচনেও তাই হবে। আমাদের তৃণমূল সম্পর্কে বক্তব্য পাল্টায় নি। পশ্চিম বাংলায় আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল ও বিজেপি দুটোকেই হারানো। আর কে কি বলল সেটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্ক করে নিজেদের ওয়াল না ভরিয়ে বুঝে নিতে হবে
কমরেড সীতারাম ,সাধারণ সম্পাদক তার কথাই চুড়ান্ত ।
সেই বক্তব্য প্রচার করা অনেক বেশী দরকার।
(খ,)
এখন আমাদের ফেসবুক বন্ধুদের একটা সামান্য অংশ, আবার বলছি সমান্য অংশ বিজেপি ,তৃণমূলের অর্থনৈতিক আক্রমণ গুলোর জবাব না দিয়ে সীতারামের শেষ লাইন নিয়ে পড়ে আছেন। সীতারামের কথার উদ্দেশ্য না বুঝেই এত কথা বলা শুরু করলেন। কে এদের এখন বোঝাবে যে যেকোনো সংগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কুটনৈতিক সংগ্রাম। সীতারাম আজ যা বলেছেন তার তাৎপর্য বোঝা যাবে ২০২১ এর জানুয়ারি,ফেব্রুয়ারি মাসে। একটু ধৈর্য ধরুন। ছায়ার সাথে যুদ্ধ করে এখনই গা হাত পা ব্যাথা করার দরকার কি?, আচ্ছা এই দেড় বছরে তৃণমূলের কি হাল হবে
কেউ কি বলতে পারে।
এখন আমাদের কাজ হবে পাড়ায় পাড়ায়, কর্মস্থলে বিজেপি, তৃণমূলকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার কাজ পূর্ণোদ্যমে শুরু করা। গণসংগঠন গুলো ,এলাকা পার্টির সদস্যরা যারা যারা active, তাদের নিয়েই কাজ করা শুরু করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
যদি মনে হয় কোনও স্তরের নেতৃত্বের কেউ কেউ বেসুরো গাইছেন, কাজ করতে চাইচ্ছেন না তাদের উপেক্ষা করে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে অসুবিধা হ ওয়ার কথা নয়।immediatete higher committeeর মেম্বারের উপরতো higher committee. আছে।
কেউ কেউ এমন অভিযোগ করছেন এরিয়া কমিটির সদস্যরা সব
নিশ্ক্রিয় ।টি এম সির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে। কেউ কেউ হয়তো যোগাযোগ রেখে চলতে পারে ।কিন্তু গোটা পার্টির এরিয়া কমিটি বা জেলা কমিটি পচে গেছে বা বিক্রি হয়ে গেছে এটা বিশ্বাস করতে হবে? একজনদুজন হতে পারে সবাই টিএম সি র সঙ্গে চলে গেছে? এটা পার্টির।বিরুদ্ধে কুৎসা ছাড়া আর কিছু হতে পারে।
কেউ যদি এরকম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ করছেন না কেন? সবাই জানে যে আমাদের পার্টিতে কথায় কথায় ,বিনা প্রমাণে, অন্তত পক্ষে curcomstancial evidence ছাড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়না। অভিযোগের সারবত্তা থাকতে হবে।
পার্টিতে সবাই খারাপ আপনিই একমাত্র নিখাদ কমরেড এটা প্রচার করতে চান?
না পার্টি এতটা পচে যায়নি। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে কমরেডরা রাস্তায়।,শ্রমিকরা কারখানায় সক্রিয়,এস এফ আই কলেজে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করছে। আর কিছু কমরেড ফেসবুকের পাতায় পার্টির উদ্ভট সমালোচনা করে শত্রুর হাতে অস্ত্র তুলে দিতে ব্যস্ত।
(গ)
আমি আমার ওয়াল আমার স ওয়াল ২ লেখার পর এখনও
পর্যন্ত রাজনৈতিক পোষ্ট করার জন্য কাউকে ব্লক করিনি। তিনজন বিজেপিকে ব্লক করেছি ।রাজনৈতিক পোষ্টের জন্য নয়।
রাজনৈতিক পোষ্ট তো আমি চাই সুস্থ বিতর্ক করার জন্য। কিন্তু ঐ তিন বিজেপি আমার বিরুদ্ধে অশ্লিল পোষ্ট করেছিলেন‌।
নিজেরা দাবি করেন সি পি আই এম অথচ যা পোষ্ট করেন তা শত্রুকে খুশী করার জন্য । তাদেরকেও ব্লক করিনি।কিন্ত এখন দুজনকে ব্লক করব। অপূর্ব কান্তি দাস এবং এরিয়ান কাপুর।
রাজনৈতিক পোষ্টের জন্য নয় । দুজনেই নিকৃষ্ট তম খিস্তি করার জন্য।কয়েকটা পোষ্ট তো প্রতিটি শব্দ ই অভিধান বহির্ভূত।আমার বিবমীষা হচ্ছিল। তাই দুজনকেই ব্লক করলাম‌।
আমি আবার মনে করিয়ে দিছি আমার ওয়ালে বিজেপির ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লেখা হবে। সেটা যারা করবে তারা স্বাগত আর যারা পার্টির প্রকাশ্য সমালোচনা করবেন তরা পথ দেখুন বা নিজের ওয়ালে যাখুশী লিখুন।
(ঘ)
আজ একজনের প্রশ্নের উত্তর দেব। নামটা খুজে পাচ্ছি না। বোধ হয় রূপসী সিপিএম।ভুল হলে কিছু মনে করবেন না।দয়া করে সংশোধন করে দেবেন।
তিনি লিখেছেন ৭০ দশক থেকেই যুক্ত,।প্রোফাইলে দেখলাম ৬৮বছর বয়স, নিজেই লিখেছেন যে তিনি পার্টি সদস্য নন।তার প্রথম অভিযোগ পার্টি ক্লাস হয়না।
ওনাকে জানাচ্ছি আমাদের পার্টি ক্লাস এখন নিয়মিত হয়। তবে পার্টি সদস্যদের জন্য। সেইজন্য আপনি হয়ত অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননা। তবে এক্ষেত্রে আমরা এখনও দুর্বল।নির্বাচনের সময় কয়েকমাস বন্ধ ছিল।
২য় প্রশ্ন —,সমস্ত বাম দল গুলো নিয়ে শক্তিশালী জোট হচ্ছেনা।
এটা অংশত ঠিক। কারণ বাম জোটের চেষ্টা হচ্ছে কিন্তু শক্তিশালী হচ্ছেনা।
ধরুণ পশ্চিমবঙ্গে চারটে দলের বাম ফ্রন্ট ছাড়াও ১৬ টা বাম দল ও গ্রুপ নিয়ে আমরা চলার চেষ্টা করি। সাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মিছিল এস ইউ সি যোগ দেয়।কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও কর্মসূচি ওরা থাকে না। আগ মার্কা বিপ্লবী তো।
কিনতু যে ষোলটা দল আছে তাদের অনেক দল বা গ্রুপ আছে যাদের ডাকে ১০০তো দূরের কথা ২০জন ও আসেনা। কত শক্তিশালী আসা করবেন আপনি?
কেরালায় আবার উল্টো ঘটনা। আর এস পি এবং ফরোয়ার্ড দল বামপন্থীদের সঙ্গে নেই তাদের ফ্রন্ট কংগ্রেসের সঙ্গে।
ত্রিপুরায় খুজেপেতে জনা দশকের বেশি আর এস পি ,ফ: ব:পাবেননা। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা,কেরালা,ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু ছাড়া কোনও রাজ্যে শতকরা ১ভাগ ও পায়নি।কি ভাবে এখন ভারত ব্যাপী বাম গড়ে তুলব?,বাস্তব পরিস্থিতি
উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগঠন গড়ে তোলা যায়না।
(,চলব)

16th July 2019

https://acesse.one/Ox0QM

20th October 2015

https://l1nk.dev/kvZTS